চকরিয়ায় দুইবন্ধু মিলে কিশোরীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ: থানায় অভিযোগ,আটক-১

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া ◑

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টমটম চালক দুইবন্ধু মিলে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত দুই টমটম চালককে আসামী করে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামীরা হলেন চকরিয়া উপজেলার ফঁাসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘুনিয়া গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে শেফায়েত হোসেন (২২) ও একই ইউনিয়নের দিগরপানখালী গ্রামের মো. আবছারের ছেলে মহিউদ্দিন (২১)। এ ঘটনার পুলিশ জনতার সহাতায় শেফায়েত হোসেনকে আটক করলেও এজাহার নামীয় অপর আসামী মো. মহিউদ্দিন এখনো পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, গত রবিবার ভাবীর সাথে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই কিশোরী। বিকালে ফঁাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া এলাকার টমটম চালক শেফায়েত হোসেন ও তার বন্ধু মহিউদ্দিন কিশোরীকে ফুসলিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তিনদিন অবস্থান করে দুই বন্ধু মিলে তাকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষক দুইবন্ধু বুধবার রাত ১০টার দিকে কিশোরীকে তার বাড়িতে পৌছে দিতে যায়। বাড়ির কাছাকাছি পৌছার পর রাস্তার পাশে স্থানীয় লোকজনকে দেখে কিশোরী চিৎকার করে কান্না শুরু করলে এক পর্যায়ে দুই টমটম চালক পালানোর চেষ্টা করে। তাৎক্ষনাত স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে শেফায়েত হোসেনকে আটক করলেও তারসহযোগী মহিউদ্দিন পালিয়ে যায়।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাদের মধ্যে একজন আটক করেছে পুলিশ। মামলার অপর আসামীকে ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।